বাড়ি16th Issue, September 2016তিস্তা এক্সপ্রেসের ইন্দোনেশিয়ান কোচটিতে হুইলচেয়ার প্রবেশগম্যতা

তিস্তা এক্সপ্রেসের ইন্দোনেশিয়ান কোচটিতে হুইলচেয়ার প্রবেশগম্যতা

তানজিদ শুভ

 

বাংলাদেশ রেলওয়ে নতুন কোচ আমদানি করেছে,যার মধ্যে একটি কোচ প্রবেশগম্য। পাঠক, আনন্দিত হবার কিছু নেই। কোচটির ভেতরে সম্পূর্ণ প্রবেশগম্য টয়লেট এবং হুইলচেয়ার বসার নির্ধারিত স্থানসহ লোগো লাগানো হয়েছে। কিন্তু হুইলচেয়ার ওঠানোর ক্ষেত্রে কী হবে, তা নিয়ে কর্তৃপক্ষ মাথা ঘামায় নি।

 

বাংলাদেশ রেলওয়ের আধুনিকায়ন ও সংস্কার প্রকল্পের আওতায় চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে ইন্দোনেশিয়া ও ভারত থেকে ব্রডগেজ ও মিটারগেজ কোচ আমদানির কাজ শুরু হয়। এরই কিছু কোচ দিয়ে সোনার বাংলা নামের নতুন ট্রেনটি চালু হয়। এছাড়া কয়েকটি ট্রেনের পুরোনো কোচের বদলে সম্পূর্ণ নতুন রেক দেওয়া হয়। এর অংশ হিসেবে অত্যাধুনিক ইন্দোনেশিয়ান (পিটিইনকা) লাল-সবুজের স¤পূর্ণ নতুন আঠারোটি কোচ পায় ময়মনসিংহ ও জামালপুরবাসির তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনটি।

 

গত ২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তিস্তায় নতুন কোচ দেওয়ার উদ্বোধনী দিনে ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জ পর্যন্ত ট্রেনটিতে আমার ভ্রমণের সুযোগ হয়েছিল। যাত্রার আগে প্ল্যাটফর্মে ঘুরে ঘুরে ছবি তুলতে গিয়ে হঠাৎ চোখ আটকে গেল ট্রেনটির ১৪০৭ নম্বর কোচটির দিকে, যেটিতে হুইলচেয়ার লোগো সংবলিত ছবি সাঁটানো। অর্থাৎ কোচটিতে হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী মানুষের ভ্রমণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা আছে। কী ব্যবস্থা রয়েছে, তা দেখার ইচ্ছে দমিয়ে রাখতে পারলাম না। গার্ড ভ্যান আর প্যান্ট্রিকার লাগোয়া (খাবার গাড়ি) শোভন চেয়ারের নন-এসি কোচটিতে হুইলচেয়ারসহ প্রবেশের জন্য আছে প্রশস্ত দরজা। ভেতরে একক আসনের পাশে আছে হুইলচেয়ার ব্যবহারকারি ব্যক্তির বসার খোলা স্থান। সাইড ডোর টয়লেটে হ্যান্ড রেলিং, পুশ শাওয়ার,  ফ্ল্যাশ এবং হাইকমোড রয়েছে, যা হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী ব্যক্তিদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি। টয়লেটের ভেতরে হুইলচেয়ার ঘোরানোর জন্য আছে পর্যাপ্ত জায়গা।

 

তবে এ ব্যবস্থা নন-এসি ছাড়াও বার্থ কিংবা স্নিগ্ধা কোচে দেওয়া হলে হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী যাত্রী তার পছন্দ অনুযায়ী আসনের টিকিট ক্রয় করতে পারত। এছাড়া কোচে ওঠার জন্য অস্থায়ী র‌্যাম্পের ব্যবস্থা না থাকায় হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী যাত্রীকে ট্রেনে তুলতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে আগের মতোই।

যা হোক, নানান প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও প্রতিনিয়ত রেল নতুন নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এসব সমস্যার উত্তরণে সুদৃষ্টি রাখবে এটাই একজন রেল ফ্যান এবং ভ্রমণকারী হিসেবে বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছে আমার প্রত্যাশা।

সর্বশেষ

চাকরি নামক সোনার হরিণ নিয়ে যখন তামাশা!

প্রতিবন্ধী মানুষের জব প্লেসমেন্ট সংক্রান্ত সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ বিজনেস এন্ড ডিজেবিলিটি নেটওয়ার্ক (বিবিডিএন) এর সাথে বি-স্ক্যান’র গত ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ তিনমাসের একটি চুক্তি হয়।...

মাসিক আর্কাইভ

Translate | অনুবাদ