বাড়ি18th issue, March 2017গুরুতর প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান

গুরুতর প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান

 

প্রতিবন্ধী সন্তান এই সমাজের অন্যান্য মানুষের মতো মাতৃগর্ভে জন্ম নিয়েও অনেক ক্ষেত্রে বাবা-মা থেকে সমাজের এমনকি সবক্ষেত্রে বোঝা হয়ে থাকে। এই প্রতিবন্ধী সন্তানটি তার প্রতিবন্ধিতার জন্য নিশ্চয়ই দায়ী নয়। হতে পারে জন্মসূত্রে বা কোনো দীর্ঘস্থায়ী দুরারোগ্য রোগের কারণে অথবা দুর্ঘটনার শিকার হয়ে শিশু বা ব্যক্তিগণ সমাজে সর্বত্র অবহেলিত।

আমার প্রশ্ন, কেন এই অবহেলা? কেন প্রতিবন্ধী মানুষেরা অন্য দশজন মানুষের মতো স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছেন না? দায়ী কারা?

 

দেশে প্রতিবন্ধী মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। অনেকেরই যদি সময়মতো পরিচর্যা ও চিকিৎসা শুরু হতো, তাহলে প্রতিবন্ধিতার সঙ্গে লড়াইটা সহজ হতে পারতো। কিন্তু পরিবারে সচেতনতার অভাব বা আর্থিক সমস্যার চেয়ে বড় সমস্যা উপযুক্ত চিকিৎসালয় বা দক্ষ প্রশিক্ষিত কর্মী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত শরীরচর্চা কেন্দ্রের অভাব। শুধু এ কারণে গুরুতর মাত্রার কত লাখো প্রতিবন্ধী মানুষ অসহায়ত্বের মধ্যে মানবেতর জীবন যাপন করছেন ঘরবন্দী হয়ে! জন্মদাতারাও শতভাগ বুঝবে না এই মানুষগুলোর রাতের পর রাতের একাকিত্বের মর্মন্তুদ অন্তরের হাহাকার।

 

বর্তমান সরকারের মতো যদি বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে সব সরকার গুরুতর প্রতিবন্ধী মানুষদের সঠিক পদ্ধতিতে পরিচর্যা শতভাগ নিশ্চিত করার জন্য উদ্যোগী হতো, তাহলে এই মানুষগুলোর অনেকেই বোঝা না হয়ে দেশের মানবস¤পদ হতে পারত। তাই এ ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং যারা কর্মক্ষম, তাদেরকে তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী নিঃশর্তে চাকরির ব্যবস্থা করা হোক। বিশেষত গুরুতর প্রতিবন্ধী মানুষদের সাধারণ জীবনযাত্রায় ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ করা হবে শিগগিরই এটাই আমার প্রত্যাশা।

 

নওশের আলী

দামোদর, খুলনা।

সর্বশেষ

চাকরি নামক সোনার হরিণ নিয়ে যখন তামাশা!

প্রতিবন্ধী মানুষের জব প্লেসমেন্ট সংক্রান্ত সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ বিজনেস এন্ড ডিজেবিলিটি নেটওয়ার্ক (বিবিডিএন) এর সাথে বি-স্ক্যান’র গত ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ তিনমাসের একটি চুক্তি হয়।...

মাসিক আর্কাইভ

Translate | অনুবাদ