মোঃ এরশাদ আলী
শিক্ষা প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার। শারীরিক কিংবা বুদ্ধির বিকাশ জনিত কারণে কোনো শিশুই যেন শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়, সে বিষয় লক্ষ্য রাখা সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তাই প্রতিটি শিশুর অবস্থা বিবেচনায় তার উপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন।
বাংলাদেশে বেসরকারি উদ্যোগে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুদের ব্রেইল পদ্ধতিতে শিক্ষাদান কার্যক্রম ১৯৫৭ সালে শুরু হয়। ১৯৬০ এর দশকে সরকারের সমাজসেবা অধিদফতরাধীনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে সরকারি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। আবাসিক ব্যবস্থা সম্পন্ন এসব প্রতিষ্ঠানে বিশেষ সিলেবাসের আওতায় শুধু মাত্র দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়োগকৃত শিক্ষকদের তত্ত্বাবধায়নে বিশেষ শ্রেণী কক্ষে শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়। এ ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিশেষ শিক্ষা ব্যবস্থা বলা হয়। এই ব্যবস্থায় পরিলক্ষিত কিছু ক্রটি নিম্নে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
- শুধু মাত্র দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিটি জেলায় আবাসিক ব্যবস্থাসহ বিশেষ বিদ্যালয় স্থাপন অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
- শুধু মাত্র দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য গড়ে তোলার ফলে অন্যান্য প্রতিবন্ধী শিশুরা মূলধারার শিক্ষা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
- এখানকার শিক্ষার্থীরা মূলধারার শিক্ষা ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে পরিবর্তনশীল তত্ত্ব ও তথ্য সর্ম্পকে জ্ঞান লাভ করতে পারে না।
- বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধিতার সম্মুখীন এবং অ-প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতিযোগিতা করে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ না পাওয়ায় তাদের মধ্যে শিক্ষা গ্রহণের প্রবল আগ্রহ তৈরী হয় না, ফলে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।
- পরিবার থেকে দূরে অবস্থানের কারণে তাদের প্রতি পরিবারের সদস্যদের মমত্ববোধ হ্রাস পায়। এবং
- নানাবিধ কারণে এ ব্যবস্থায় মানসম্মত শিক্ষাদান বাধাগ্রস্থ হয়।
এসব সমস্যা বিবেচনায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুরা যেন মায়ের কোলে বসে, বাবার আদর পেয়ে ও নিজের ভাই-বোন বা প্রতিবেশী বন্ধুদের সাথে নিকটবর্তী মূলধারার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সকলের সাথে একই শ্রেণী কক্ষে, একই শিক্ষকের তত্ত্বাবধায়নে একই সিলেবাসের আওতায় প্রতিযোগিতামূলক ভাবে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারে এ লক্ষ্যে ১৯৭৪ সনে সমাজসেবা অধিদফতর প্রতিটি জেলায় একটি করে সাধারণ বিদ্যালয় নির্বাচন করে। এসব বিদ্যালয়ের সাথে একটি করে রির্সোস কক্ষ নিমার্ণ করে একজন করে রির্সোস শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। এই কক্ষে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষাদান উপযোগী শিক্ষা উপকরণগুলো সংরক্ষণ করা হয়। রির্সোস শিক্ষক সেখানে বসে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ব্রেইল পদ্ধতি, ওরিয়েন্টেশন মোবিলিটি, সোশাল কমিউনিকেশন স্কিল, শ্রেণী কক্ষের সবার সাথে মিলেমিশে শিক্ষা গ্রহণের নানা কৌশল, দৈনন্দিন জীবন-যাপন প্রণালী এবং অন্যান্য বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করে থাকেন। তাছাড়া বিদ্যালয়ের পরিবেশ সব সময় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উপযোগী রাখতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনা করেন রির্সোস শিক্ষক।
শ্রেণী কক্ষে কোন বিষয় সর্ম্পকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী বুঝতে অসমর্থ হলে রির্সোস শিক্ষক তার কক্ষে বসে সব বিষয় বুঝিয়ে দেন। প্রয়োজনে রির্সোস শিক্ষক বিদ্যালয়ের অন্যান্য সকল শিক্ষার্থীদেরকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সাথে মিলে শিক্ষা অর্জনে উদ্বুদ্ধ করার জন্য কিছু বিষয়ের উপর ক্লাস নিয়ে থাকেন। এছাড়া নানাবিধ কৌশল অবলম্বন করে বিদ্যালয়, বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী পরিবেশ এমনকি ঐ জেলার প্রশাসনসহ সর্বত্র দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুদের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যেও কাজ করেন তিনি। পরিবারে অবস্থান করে উক্ত শিক্ষকের সহায়তায় সাধারণ বিদ্যালয়ের শিক্ষা গ্রহণের এই প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণ সমন্বিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রম বলা হয়।
কিন্তু দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার প্রতি অভিভাবকদের অনাগ্রহ ও অসচেতনতা, পারিবারিক আর্থিক সমস্যা, গ্রামাঞ্চলের রাস্তাঘাটের সমস্যা, বিদ্যালয় থেকে বাড়ীর দূরত্ব বেশি হওয়ার ফলে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করে শিক্ষা গ্রহণের সমস্যা ইত্যাদি নানা কারণে ’৭০ এর দশকে সমন্বিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রম প্রত্যাশিত সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। কার্যক্রমগুলির যথাযথ উন্নয়ন কল্পে ১৯৭৯ সনে এ্যাসিস্ট্যান্স ফর ব্লাইন্ড চিলড্রেন (এবিসি) নামক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ময়মনসিংহ, ব্রাহ্মনবাড়ীয়া, কুমিল্লা, সিরাজগঞ্চ এবং জামালপুর এই ৫টি জেলায় বিদ্যমান সমন্বিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে একটি করে হোস্টেল নিমার্ণ করে সেখানে দশ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর ভরণপোষণের ব্যবস্থা করে। এভাবেই এক নবযুগের সূচনা হয়। হোস্টেলগুলোতে অবস্থান করে মূলধারার বিদ্যালয়ে প্রতিযোগিতা করে শিক্ষা গ্রহণের ফলে একদিকে মূলধারার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিজেদের প্রতিবন্ধিতাকে জয় করার মানসিকতা অর্জনে যেমন তারা সক্ষম হচ্ছে অন্যদিকে বিদ্যালয়ের অ-প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ও শিক্ষক মন্ডলী তাদের মেধা ও মননশিলতায় মুগ্ধ হয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতাকে শিক্ষা গ্রহণের অন্তরায় হিসেবে মেনে নিতে অনিহা পোষণ করছেন। এই কার্যক্রমের সফলতা সাপেক্ষে পরবর্তীতে মাগুরা জেলায় অবস্থিত সমন্বিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে আরো একটি হোস্টেল নির্মাণ করে এবিসি।
সমন্বিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রমগুলো সফলভাবে পরিচালনা করতে হোস্টেল নির্মাণের অপরিহার্যতা বিবেচনায় সুইডিশ ফ্রি মিশন নামে একটি বিদেশী সংস্থা ১৯৮৫ সনে টাংগাইল, চুয়াডাঙ্গা, মৌলবীবাজার, নড়াইল এবং গাইবান্ধা জেলায় অবস্থিত সমন্বিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রমের সাথেও একটি করে হোস্টেল নিমার্ণ করে। আবাসন ব্যবস্থার ফলে রির্সোস শিক্ষকের সহায়তায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা মূলধারার বিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণে যথেষ্ট আগ্রহী হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে সুইডিশ ফ্রি মিশনের এই ৫টি হোস্টেল সরকার অধিগ্রহণ করেন। এরপরে ১৯৯৬ সনে বাংলাদেশ সরকার সমন্বিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রমগুলোর গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লালমনিরহাট, রংপুর, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, রাজশাহী, ঢাকা, গাজীপুর, শেরপুর, শরীয়তপুর, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, বান্দরবন, লক্ষীপুর, নরসিংদি, বরিশাল, ঝালকাঠি, বরগুনা এই ১৭টি জেলায় আবাসিক ব্যবস্থাসহ ১৭টি সমন্বিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রম প্রতিষ্ঠা করে।
বর্তমানে দেশের ৬৪টি জেলার প্রতিটিতেই একটি করে সমন্বিত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে যেখান থেকে প্রতিবছর বেশ কিছু সংখ্যক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্র/ছাত্রী সাফল্যের সাথে এস.এস.সি এবং এইচ.এস.সি পাশ করে উচ্চ শিক্ষার জন্য বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যলয়ে ভর্তি হচ্ছে। তবে এর ২২টি কার্যক্রমের সাথে সরকারি আবাসিক ব্যবস্থা এবং ৬টি কার্যক্রমের সাথে এবিসি পরিচালিত আবাসিক ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া ৩৪টি জেলায় হোস্টেল নির্মাণের কাজ অত্যন্ত ধীর গতিতে এগিয়ে চলছে। এগুলো সম্পূর্ণভাবে চালু হলে ৭১টি সমন্বিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রমে ৭১০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে পারবে।
তবে পরিতাপের বিষয় হলো, ৬৪টি জেলায় পরিচালিত এই সমন্বিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রম শুধুমাত্র দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছেলেদের শিক্ষার জন্য পরিচালিত হচ্ছে। যদিও সম্প্রতি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মেয়েদের জন্য দেশের ৭টি বিভাগে মাত্র ৭টি সমন্বিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রম প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে কিন্তু এসব কার্যক্রম কবে পুরোপুরি বাস্তবায়ন হবে কেউ তা জানেন না। অথচ মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য এই কার্যক্রম আরও বৃদ্ধি করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
সকল প্রকার প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার আওতায় আনার লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে একীভূত শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। কিন্তু এ কার্যক্রম গুলোতে বিরাজমান সমস্যা যেমন; শিক্ষকদের বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ এবং ব্রেইল পদ্ধতি ও ইশারা ভাষার প্রশিক্ষণের অভাব, ব্রেইল পদ্ধতির পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষা উপকরণের অভাব ছাড়াও অবকাঠামোগত সমস্যা ইত্যাদি কারণে শিক্ষার্থীরা মানসম্মত শিক্ষা অর্জন করতে পারছে না। সুতরাং একীভূত শিক্ষা কার্যক্রম প্রতিবন্ধী শিশুদের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারছে না। বর্তমানে এই কার্যক্রমই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষাদানের একটি কার্যকর শিক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তবে যেসব শিশুদের মধ্যে দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতার সাথে অন্যান্য প্রতিবন্ধিতা রয়েছে সেসব শিশুদের বিশেষ শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা যেতে পারে।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য শিক্ষাদান কার্যক্রম যথাযথ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে-
১। প্রতিটি উপজেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাথে একটি করে আবাসিক সমন্বিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রম প্রতিষ্ঠা করা,
২। বিদ্যালয়গুলোতে ব্রেইল পদ্ধতির প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত দক্ষ রির্সোস শিক্ষক নিয়োগ করা,
৩। ব্রেইল পদ্ধতিতে সকল বিষয়ের পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করা,
৪। বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকদের প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান,
৫। শ্রেণী কক্ষগুলোতে দৃষ্টি ও স্বল্প দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করা,
৬। সমাজসেবা অধিদফতর পরিচালিত সমন্বিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রমগুলি রির্সোস শিক্ষকের পদমর্যাদা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সমমান অর্থাৎ প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত করা,
৭। প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল নিয়োগের ব্যবস্থা করা,
৮। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান কার্যক্রমগুলি পরিচালনার জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা,
৯। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সরকারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে শ্রুতি লেখক নিয়োগ বিষয়ে সকল শিক্ষা বোর্ডের জন্য একটি অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করা,
১০। শিক্ষার সর্বস্তরে ব্রেইল পদ্ধতিতে সকল বিষয়ের পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষা উপকরণ সরবরাহের ব্যবস্থা করা এবং
১১। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান কার্যক্রমগুলো সর্ম্পকে ব্যাপক প্রচারণার ব্যবস্থা করা একান্ত আব্যশক।
সর্বোপরি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমগুলোর প্রতি বিরাজমান সংশ্লিষ্ট মহলের নীতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী পরিহার করে যথাযথ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এদেশের সকল দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুদেরকে সমাজের মূল স্রোতে অর্ন্তভুক্ত করার প্রয়োজন।
লেখকঃ রিসোর্স শিক্ষক, সমন্বিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধি শিক্ষা কার্যক্রম, সাপ্টিবাড়ী, আদিতমারী, লালমনিরহাট।