বাড়ি11th Issue, June 2015উত্তরা ট্রাফিক পুলিশের হেনস্তা; কার কাছে গেলে পাবো প্রতিকার?

উত্তরা ট্রাফিক পুলিশের হেনস্তা; কার কাছে গেলে পাবো প্রতিকার?

 

আমি জানিনা কেনো বা কীভাবে আমার একটি পায়ের হাড় বাঁকা হয়ে আছে অনেক বছর আগে থেকেই। তবে একবার ডাক্তার বলেছিলেন যে, এটা পোলিও থেকে হয়েছে। যা হোক, এ প্রতিকূলতার মাঝেও আমি এ বছর এইচ.এস.সি. পাশ করি। তবে, পারিবারিক অনিচ্ছা সত্ত্বেও এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার জন্য ঢাকায় এসেছি। আর্থিক সমস্যা ও পড়াশোনার খরচ চালাবার জন্য, বাড়িধারায় একটি চাকরি জোগাড় করেছি। যেহেতু বাসা উত্তরায় এবং আমার পায়ে সমস্যা আছে তাই খুব সকালে রিক্সা করে মেইন রোড দিয়েই অফিসে যেতে হয় আমাকে।

 

প্রথম যেদিন উত্তরা আসি সেদিন আমার কাছে অনেক মালপত্র থাকার কারণে একজন ট্রাফিক পুলিশ আমার কাছে টাকা দাবি করলে আমি অসম্মতি জানিয়ে পুলিশ সুপারকে ব্যাপারটা জানাই। যার কারণে সেদিন থেকে সেই ট্রাফিক পুলিশ সুযোগ পেলেই আমাকে হেনস্তা করে আসছে। উত্তরা মেইন রোড দিয়ে রাস্তা পার হতে সেই ট্রাফিক পুলিশ রিক্সা প্রতি প্রথম একশ টাকা চাঁদা নেয় নতুবা রিক্সায় রাস্তা পার হতে দেয় না। তেমনি আমার শারীরিক সমস্যা সম্পর্কে অবগত হওয়া সত্ত্বেও কেবলমাত্র টাকা না দেয়ার জন্য আমাকেও রিক্সায় মেইন রোড পার হতে দেয় না। তাই, খুব কষ্ট করেই পায়ে হেঁটে আমি রাস্তা পার হই। কিন্তু, দু’দিন যাবত পায়ে প্রচণ্ড ব্যাথার কারণে নিরুপায় হয়ে সেদিন রিক্সা করে মেইন রোড পার হতে চাইলে, শত অনুরোধেও সাড়া না দিয়ে ট্রাফিক পুলিশ আমাকে মেইন রোডে নামিয়ে দেয় এবং রিক্সার টায়ারের পাম্প ছেড়ে দেয়। মনের ভেতর একরাশ কষ্ট অনুভূত হয় তখন যা কাউকে বুঝাতে পারব না।

 

তবে, শুধু প্রশ্ন আর প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। আচ্ছা, আমার সমস্যা কাকে বললে সমাধান পাবো? সারা জীবন কী তবে লাঞ্ছনা-বঞ্চনাই প্রাপ্য আমার?

 

 

স্বপ্না,

উত্তরা, ঢাকা।

সর্বশেষ

চাকরি নামক সোনার হরিণ নিয়ে যখন তামাশা!

প্রতিবন্ধী মানুষের জব প্লেসমেন্ট সংক্রান্ত সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ বিজনেস এন্ড ডিজেবিলিটি নেটওয়ার্ক (বিবিডিএন) এর সাথে বি-স্ক্যান’র গত ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ তিনমাসের একটি চুক্তি হয়।...

মাসিক আর্কাইভ

Translate | অনুবাদ