বাড়ি11th Issue, June 2015একীভূত বাজেটের অঙ্গীকার থাকলেও মন্ত্রণালয় ভিত্তিক বরাদ্দ নেই

একীভূত বাজেটের অঙ্গীকার থাকলেও মন্ত্রণালয় ভিত্তিক বরাদ্দ নেই

 

অপরাজেয় প্রতিবেদক

 

একীভূত বাজেটের অঙ্গীকার থাকলেও প্রতিবন্ধী মানুষের উন্নয়নে এবারও মন্ত্রণালয় ভিত্তিক বরাদ্দ নেই। এমনকি বিগত সময়ে সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকারের কোন প্রতিফলন নেই বাজেটে। বিশেষত ৫০টি বাজেট প্রস্তাবনার মধ্যে ৩০টিও আলোচনায় না আসায় বরাদ্দ নিয়ে হতাশ প্রতিবন্ধী মানুষেরা।

 

গত ৪ জুন ২০১৫ বাজেট ঘোষণার সময় জেন্ডার বাজেটের পাশাপাশি ৫টি মন্ত্রণালয়কে ঘিরে এবারই প্রথমবারের মতো শিশু বাজেট ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী কিন্তু প্রথমবারের মত দেয়া শিশু বাজেটেও প্রতিবন্ধী শিশুদের কথার উল্লেখ নেই। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় অ-প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্য নানা প্রকল্প গৃহীত হলেও প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবাগুলোও এই খাতের অন্তর্ভুক্ত নয়।

 

এদিকে প্রস্তাবিত বাজেটে ১২টি মন্ত্রণালয়ে প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য আলাদা বাজেট বরাদ্দের দাবি জানানো হলেও বরাদ্দ দেয়া হয়েছে শুধু সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে। জানা যায়, সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার থাকার পরও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ছাড়া অন্য কোন মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ বরাদ্দের চাহিদা তুলে ধরা হয় না। ফলে সামাজিক নিরাপত্তা খাতের বাইরে প্রতিবন্ধী মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ দেয়া হয় না।

 

মাননীয় অর্থমন্ত্রীর সাথে জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামসহ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংগঠনের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের মতবিনিময়কালেও ১২টি মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ চাওয়া হলে তিনি কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের নাম (শিক্ষা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষাা, স্থানীয় সরকার, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, মহিলা ও শিশু, যুব ও ক্রীড়া ইত্যাদি) উল্লেখ করে এবারের বাজেটে মন্ত্রণালয় ভিত্তিক বরাদ্দের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু বাজেট ঘোষণায় এর প্রতিফলন না থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন অনেকেই।

আরও জানা যায় বিগত সময়ে সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীসহ সরকারি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দও উল্লেখিত ১২ মন্ত্রণালয়ের আওতায় প্রতিবন্ধী মানুষের উন্নয়নে কার্যক্রম গ্রহণের অঙ্গীকার করেছিলেন।

 

অপরদিকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অধিকার ও সুরক্ষা আইন, প্রতিবন্ধী উন্নয়ন অধিদফতর বাস্তবায়নসহ তাদের জন্য দেয়া অনুদানকে করমুক্ত করা, দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা, র‌্যাম্পযুক্ত গণপরিবহন আমদানি করা, বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদানকারী সরকারি ও স্থানীয় সরকারের ভবনে প্রতিবন্ধী মানুষের প্রবেশগম্যতা নিশ্চিতকরণ প্রকল্প এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বাংলা ইশারা ভাষা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপনের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবহেলিত রয়ে গেছে। তবে অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ভাতাভোগীর সংখ্যা ২ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৬ লাখ জনে উন্নীত করার লক্ষ্যে ৩৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর উপবৃত্তি প্রাপ্তদের সংখ্যা ১০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৬০ হাজারে উন্নীত করার জন্য ২৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। নিউরো ডেভলামেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টে ১০ কোটি টাকা এবং একই সঙ্গে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির আয়কর সীমা তিন লক্ষ পঁচাত্তর হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। এদিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা স্বত্বেও বাজেট প্রস্তাবনায় তারা করুণার পাত্র হিসেবেই রয়ে গেছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংগঠনগুলো। প্রাক-বাজেট আলোচনায় এই ব্যাপারে অর্থ বরাদ্দের দাবী জানালেও কেবলমাত্র আইন দুটির বিধি প্রণয়নের ঘোষণা ছাড়া ইতিবাচক সাড়া মেলেনি।

 

উল্লেখ্য, বাজেট ২০১৫-১৬ ঘোষণার পরই জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরাম ও বিভিন্ন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংগঠনগুলো হতাশ প্রতিক্রিয়া জানান সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে।

 

সর্বশেষ

চাকরি নামক সোনার হরিণ নিয়ে যখন তামাশা!

প্রতিবন্ধী মানুষের জব প্লেসমেন্ট সংক্রান্ত সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ বিজনেস এন্ড ডিজেবিলিটি নেটওয়ার্ক (বিবিডিএন) এর সাথে বি-স্ক্যান’র গত ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ তিনমাসের একটি চুক্তি হয়।...

মাসিক আর্কাইভ

Translate | অনুবাদ