রুবা টুংটাং
নারী কথাটি খুব ছোট তবে, ছোট নয় তার অবদান,
জন্ম থেকে বয়ে বেড়ায় সে যন্ত্রণা আর অপমান।
শৈশব থেকে নারীর বেলায় সবকিছুতেই বাধা,
ছেলের বেলায় পুরো মাছটি, মেয়ে পায় তার আধা।
ঘরের ভেতর থাকতে হবে, বেরোলেই অপরাধ,
নারী জীবনে থাকতে হয় না কোনো সাধ-আহ্লাদ।
সমান কাজ করেও নারী পায় না সমান মজুরি,
সমান দাবি করলে তা হয় অন্যায় বাড়াবাড়ি।
সালিস বিচারে ঠকে যায় নারী, দোষ বেশি হয় তার,
নারী বলে তাকে সয়ে নিতে হয় অসহনীয় প্রহার।
আজ রূপসী কাল প্রেয়সী, বিয়ের পরেই সর্বনাশী,
রাক্ষসী তুই দূর হ এবার, মরে যা দিয়ে ফাঁসি।
যৌতুক ছাড়া নারীর জীবনে, বিয়ের ফুল তো ফোটে না,
পাহাড় সমান দিলে পরেও যৌতুক দেয়া হয় না!
বিধাতার দান পুত্র-কন্যা, নেই যে নারীর হাত,
তবু আজও পুত্র না হলে নারীই পায় তালাক।
আঘাতে আঘাতে নারীকে যখন করে ফেলো অচেতন,
ভুলে যাও কোনো নারীরই গর্ভে করেছ জন্মগ্রহণ।
নারী হয়ে যারা নারীর ওপর চালায় অত্যাচার,
সেসব ডাইনি-পিশাচীকে জানাই চির ধিক্কার।
যুগে যুগে নারী হয়েছে শোষিত, পায়নি সে নিস্তার,
আদি থেকে আজও নারী উপভোগে, আছে ওরা সোচ্চার।
নর্তকী রূপে নাচত নারী রাজ রংমহলে,
ক্যাবারে ড্যান্সার এখন ওরা পাঁচতারা হোটেলে।
রং বদলায় ঢং বদলায়, বদলায় না তো স্থান,
নারী কি শুধুই বঞ্চিত হবে, পাবে না সে সম্মান?
যুগে যুগে নারী এই সমাজে, হয়ে চলেছে পণ্য,
তবে কি নারীর জন্ম কেবলই ভোগবিলাসের জন্য?
অনুকম্পা, দয়া, করুণা, সে তো নয় সমাধান,
নারীও যে মানুষ, দাও তাকে তার যথাযথ সম্মান।