৩ ডিসেম্বর বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে যথাযোগ্য মর্যাদাপূর্ণ ভাবে এই দিনটি পালন করা হয়। এইদিন বাংলাদেশে সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার, আইন ইত্যাদি নানা বিষয়ে বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও আলোচনা অনুষ্ঠান করে থাকে। বস্তুত সকল আলোচনা ও সমালোচনা এই দিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। তাই প্রশ্ন জাগে -প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য কী একদিনই বরাদ্দ?
তথ্যানুসারে মোট জনসংখ্যার শতকরা ১৫ ভাগ জনগোষ্ঠী কোন না কোন প্রতিবন্ধিতার শিকার। কিন্তু এই বৃহৎ জনগোষ্ঠী নিয়ে নীতিনির্ধারকদের নেই কোন মাথা ব্যাথা। আজ অবধি বাংলাদেশে তৈরী হয়নি পূর্নাঙ্গ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার আইন। বাংলাদেশের সংবিধানের ৩য় অধ্যায়ের ২৭ নং অনুচ্ছেদে মৌলিক অধিকারের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকদের সমান অধিকারের কথা বলা হলেও এই বিশাল জন গোষ্ঠী (প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা) যথাযথ অধিকার থেকে বঞ্চিত, অবহেলার শিকার ও করুণার পাত্র।
বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ব্যাপারে অনিহা প্রকাশ করে। প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক কোন খবর এক কলাম জায়গা পেতে অনেক বেগ পেতে হয়। বি-স্ক্যান প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন মিডিয়ায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পক্ষে বিভিন্ন প্রচার প্রচারনা করে আসছে। কিন্তু এসব প্রচার প্রচারনা চালাতে গিয়ে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সম্মুক্ষিন হতে হচ্ছে সর্বক্ষণ। যার ফলস্বরূপ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের একটা নিজস্ব প্রচার মাধ্যম বা পত্রিকার প্রবল অভাববোধের অনুভব থেকেই অপরাজেয় পত্রিকার আত্মপ্রকাশ। আমাদের প্রত্যাশা, এই পত্রিকা হবে প্রতিবন্ধী তথা ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের অধিকার আদায়ের মুখপত্র ও বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর।
অপরাজেয় পত্রিকার ১ম প্রকাশনা প্রকাশে যারা বিভিন্নভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আশা করি, সকলের সুচিন্তিত মতামত ও পরামর্শ আমাদের অব্যাহত পথযাত্রাকে সুগম করবে।
সবাইকে মহান বিজয় দিবসের রক্তিম শুভেচ্ছা।