নিজস্ব প্রতিবেদক: দুহাতের মাত্র ৬টি আঙুলের সাহায্য ও পায়ের গোড়ালি আর দাঁত দিয়েই কাজ করে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির মুহাম্মদ রাসেল হয়ে উঠেছেন বেতের আসবাবের নিপুণ কারিগর। বাঁকানো দুটি পা নিয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার পথ হামাগুড়ি দিয়ে কারখানায় গিয়ে এই কাজ করেন তিনি। তবুও তার চোখে একটিই স্বপ্ন, নিজেই একদিন বেতের কারখানা খুলবেন। শারীরিক প্রতিবন্ধিতার কাছে হার না মানা রাসেলের সেই স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে এল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বি-স্ক্যান।
গত ৩১ অক্টোবর ২০১৩ ‘প্রথম আলো’র সাপ্তাহিক ক্রোড়পত্র আলোকিত চট্টগ্রামে ‘প্রতিবন্ধী রাসেলের জীবন জয়’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি দেখে বাংলাদেশী সিস্টেমস চেঞ্জ এ্যাডভোকেসি নেটওয়ার্ক (বি-স্ক্যান) উদ্যোগী হয়ে গত ১৬ জানুয়ারি, ২০১৪ তারিখে রাসেলকে ১০,০০০ (দশ হাজার) টাকা প্রদান করে নিজস্ব ব্যবসা শুরু করার উদ্দেশ্যে।
বি-স্ক্যান এর একজন স্বেচ্ছাসেবক ফটিকছড়ি উপজেলার কাটিরহাটে সরেজমিন পরিদর্শনে জানতে পারেন, মাসিক ৩০০ টাকা প্রতিবন্ধী ভাতায় রাসেল সংসার চালাতে ব্যর্থ হয়ে পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতার উদ্দেশ্যে উপজেলার নাজিরহাটে বাজারে বেতের কাজ নেন। এই চাকরী করেই নিজে স্বাবলম্বী তো হয়েছেনই, ছোট বোনকেও পড়ালেখা করাচ্ছেন। যদিও নিজে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ পান নি। রাসেলের এই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যেই বি-স্ক্যান শুভাকাক্সক্ষী জনাব পাপিয়াস আহমেদের সহযোগিতায় এক অনাড়ম্বর আয়োজনের মাধ্যমে বি-স্ক্যান এর স্বনির্ভর প্রকল্পের আওতায় এই টাকা তুলে দেয়া হলে আনন্দে উচ্ছ্বসিত রাসেল জানান ‘দ্রুত তিনি নিজের ব্যবসা শুরু করার চেষ্টা করবেন। ভাই বোনকে আরো পড়ালেখা করিয়ে মানুষের মত মানুষ হিসেবে এ সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে তুলবেন।’
নিপুণ বেতের কারিগর ফটিকছড়ির রাসেল
নিজস্ব প্রতিবেদক: দুহাতের মাত্র ৬টি আঙুলের সাহায্য ও পায়ের গোড়ালি আর দাঁত দিয়েই কাজ করে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির মুহাম্মদ রাসেল হয়ে উঠেছেন বেতের আসবাবের নিপুণ কারিগর। বাঁকানো দুটি পা নিয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার পথ হামাগুড়ি দিয়ে কারখানায় গিয়ে এই কাজ করেন তিনি। তবুও তার চোখে একটিই স্বপ্ন, নিজেই একদিন বেতের কারখানা খুলবেন। শারীরিক প্রতিবন্ধিতার কাছে হার না মানা রাসেলের সেই স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে এল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বি-স্ক্যান।
গত ৩১ অক্টোবর ২০১৩ ‘প্রথম আলো’র সাপ্তাহিক ক্রোড়পত্র আলোকিত চট্টগ্রামে ‘প্রতিবন্ধী রাসেলের জীবন জয়’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি দেখে বাংলাদেশী সিস্টেমস চেঞ্জ এ্যাডভোকেসি নেটওয়ার্ক (বি-স্ক্যান) উদ্যোগী হয়ে গত ১৬ জানুয়ারি, ২০১৪ তারিখে রাসেলকে ১০,০০০ (দশ হাজার) টাকা প্রদান করে নিজস্ব ব্যবসা শুরু করার উদ্দেশ্যে।
বি-স্ক্যান এর একজন স্বেচ্ছাসেবক ফটিকছড়ি উপজেলার কাটিরহাটে সরেজমিন পরিদর্শনে জানতে পারেন, মাসিক ৩০০ টাকা প্রতিবন্ধী ভাতায় রাসেল সংসার চালাতে ব্যর্থ হয়ে পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতার উদ্দেশ্যে উপজেলার নাজিরহাটে বাজারে বেতের কাজ নেন। এই চাকরী করেই নিজে স্বাবলম্বী তো হয়েছেনই, ছোট বোনকেও পড়ালেখা করাচ্ছেন। যদিও নিজে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ পান নি। রাসেলের এই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যেই বি-স্ক্যান শুভাকাঙ্ক্ষী জনাব পাপিয়া আহমেদের সহযোগিতায় এক অনাড়ম্বর আয়োজনের মাধ্যমে বি-স্ক্যান এর স্বনির্ভর প্রকল্পের আওতায় এই টাকা তুলে দেয়া হলে আনন্দে উচ্ছ্বসিত রাসেল জানান ‘দ্রুত তিনি নিজের ব্যবসা শুরু করার চেষ্টা করবেন। ভাই বোনকে আরো পড়ালেখা করিয়ে মানুষের মত মানুষ হিসেবে এ সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে তুলবেন।’