জাতি এখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে, একদিকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার নতুন প্রজন্মের তরুণরা, অন্যদিকে নেপথ্যে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্যও চলছে নানা আয়োজন । ইতোমধ্যে দেশব্যাপি সহিংসতায় শতাধিক লোক মৃত্যুবরণ করেছে । এ ধরনের উদ্বিগ্নতার মধ্যে আমরা উদযাপন করবো স্বাধীনতা দিবস । দেশজুড়ে সহিংসতার মাঝে উদযাপিত স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্যও ভিন্ন বৈকি! অনেকে বিষয়টিকে হালকাভাবে নিতে পারেন । কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়েছে, পুরো ফেব্র“য়ারি মাস জুড়ে যে সহিংসতা দেশব্যাপি হয়েছে, তা রাজনৈতিক ও সামাজিক সমস্যা । এই সমস্যা সমাধানের জন্য দ্রুত পন্থা খুঁজে বের করা প্রয়োজন ।
মহান স্বাধীনতার মাসে আমরা আমজনতা আশা করবো ৩০ লাখ শহীদের রক্তে কেনা স্বাধীনতার সম্মান যেমন রক্ষা করতে হবে তেমনি দেশের মানুষের জান-মালেরও হেফাজত করতে হবে । আমাদেরকে স্বাধীনতার চেতনা তথা গণতন্ত্র ও দূর্নীতিমুক্ত সমাজ বিনির্মাণের জন্য সম্ভব সব কাজ করতে হবে । সম্পদের সুষম বন্ঠনের মাধ্যমে দারিদ্রমুক্ত দেশ গঠনের জন্য আমাদের সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে ।
আমরা দুঃখের সাথে লক্ষ্য করছি যে, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার জন্য আমাদের সরকারগুলোর কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেই । স্বাধীনতার মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা । পাকিস্তানী দুঃশাসন হতে মুক্তি লাভ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করাই ছিল আমাদের স্বপ্ন । অথচ সেই কাংখিত নির্ভেজাল গণতন্ত্র এখনও আসেনি । এখনও গণতন্ত্রের জন্য আমাদের প্রাণ দিতে হয় । আন্দোলন করতে হয় ।
স্বাধীনতার চার দশক পর আজ আমাদের প্রত্যাশা, আমাদের শহীদের স্বপ্নের বাস্তবায়ন হোক, দূর্নীতিমুক্ত, দারিদ্রমুক্ত সমাজ তৈরী হোক । সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হোক ।
লেখক : কলামিষ্ট, রাজনীতি বিশ্লেষক