আমাদের দেশে হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী ব্যক্তিদের সর্বত্র প্রবেশগম্যতা না থাকায় ঘর থেকে কোথাও বেরুনো দুঃসাধ্য বলা যায়। আমি একজন হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী ব্যক্তি হিসেবে দিনের পর দিন ঘর বন্দী থাকাটাই আমার নিয়তি হিসেবে মেনে নিয়েছি। বাবা মা আমাকে মাঝে মাঝে রমনা বটমূলে ঘুরাতে নিয়ে যায়। সেখানে চমৎকার কিছু ছাউনি ঘেরা বসার বেঞ্চি আছে, যেখানে বসে প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশ উপভোগ করা যায়। রমনা অস্তাচল গেটের কাছের ছাউনিটাতেই প্রায়ই গিয়ে বসি আমি। কিন্তু সমস্যা হয় তখনই যখন আমার হুইলচেয়ার সমেত প্রায় ২/৩ ধাপ সিঁড়ি পেরিয়ে যেতে হয়। প্রতিবারই উঠা নামার সময় অন্তত তিন/চার জনের সাহায্যে নানান ঝক্কি পোহাতে হয় এই হুইলচেয়ারটা নিয়ে। বেশ কয়েকবার লক্ষ্য করেছি সেখানে আমার মত আরো কয়েকজন হুইলচেয়ার ব্যবহারকারি আসেন। হয়তো আমারই মত খানিকটা স্বস্তির শ্বাস নিতে। কিন্তু তারাও একি ভোগান্তির শিকার।
শুনেছি, ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ও ঢাকা মহানগরী ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ২০০৮ অনুযায়ী সর্বত্র হুইলচেয়ার প্রবেশগম্যতা রাখার বিধান আবশ্যকীয় করা হয়েছে। তাই, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিনীত দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক বলছি, সিঁড়ি হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী ব্যক্তির চলার পথের বাঁধা, কিন্তু র্যাম্প সকলের জন্য উন্মুক্ত। তাই কর্তৃপক্ষ যদি রমনা বটমূলের অন্তত একটি ছাউনিতে সিঁড়ির পাশে হুইলচেয়ার সহায়ক পথ র্যাম্প নির্মাণের উদ্যোগ নেন তাহলে আমার মত অনেকেই উপকৃত হবেন।
ফারজানা সুলতানা জ্যোতি
ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা।