মুস্তফা কামরুল আখতার
কী সেই গল্প ?
মানবিকতার।
হাত নেড়ে, গলা ফুলিয়ে, মঞ্চ কাঁপিয়ে ?
হু, সভ্যতার শুরু, জীবন বাঁচাতে। আর ? …
আর বড় মানুষগুলোর ঐশ্বর্য রক্ষার মেকানিজম।
প্রকৃতির তুমুল খেয়ালে, ইচ্ছেমতন প্রতিবন্ধকতায়
নিরন্ন, নিরস্ত্র মানুষেরা এখন আর বিপন্ন বোধ করে না
স্থির, অবশ অভ্যস্ত সময়ে নিষ্করুণ মানুষের সামনে
সভ্যতার হুইল এখন ঘোরে অদ্ভুত দর্শন নিয়ে
দর্শন ছেড়ে ছুড়ে একটি মেয়ে উঠে দাঁড়ায়
টলমল পায়ে ক্রাচে ভর দিয়ে, স্থবির ব্যবস্থার উপমা,
জলহীন চোখে ‘সবশেষে কি খাবারের প্যাকেট হবে ?’
তখুনি, দূরে এক কোণে কাঁদে এক অসহায় কন্যা
মানুষের মত কিছু প্রাণী শিকারী পশুর মত শিকার খোঁজে
হাত-পা অচল এক যুবক, চোখ জুড়ে অন্ধকার
এক তরুণী, ক্ষমাহীন গল্প-উপাখ্যানের সমাপ্তির অপেক্ষায়
যদি চোখ ফেরাও তোমরা, যদি দেখতে পাও –
স্থির, নিষ্কম্প জেদী চোখ সেই অদম্য মানুষেরা,
অচল পায়েও, শক্ত মুঠোয় দিগবিজয়ের ছবি,
বিস্তৃত ভুগোলে, অবহেলার মাঠ জুড়ে, তোমাদের
অনুকম্পায় নয়, মানুষ পরিচয়ে, দৃঢ় প্রত্যয়ে
যদি চোখ ফেরাও তোমরা,
যদি একবার, একবার যদি দেখতে রুদ্ধশ্বাসে নির্নিমেষ,
কিছু আত্মা, তোমাদের মাঝে থেকেও।