নিজস্ব প্রতিবেদক
সাংগঠনিক গণ্ডীর বাইরে গিয়েও প্রতিবন্ধী মানুষেরা এককভাবে নীতি নির্ধারনী কমিটিগুলোতে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে এই বিষয়ে সন্দিহান সরকারি কর্মকর্তারা। বিশেষত প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংগঠন (ডিপিও) সম্পর্কে সমাজসেবা কর্মকর্তাদের ধারণা স্বচ্ছ নয়। কিছু ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী মানুষের যোগ্যতা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে তাদের, বিশেষত শ্রবণ-বাক এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষদের প্রতিনিধিত্বের যোগ্যতা নিয়েই দ্বিধায় আছেন তারা।
উল্লেখ্য, গত ৯ অক্টোবর, ২০১৪ চট্টগ্রামের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কয়েকটি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংগঠন (ডিপিও) সমূহের কয়েকজন প্রতিনিধি চট্টগ্রাম সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক বন্দনা দাস এর সাথে দেখা করতে গেলে উল্লেখিত বিষয়গুলো উঠে আসে।
যদিও সমাজের সর্বত্র অ-সচেতনতার ভাব প্রকট আকারে চোখে পড়ে তবুও ধীরে ধীরে পরিবর্তন আসবেন বলে জানালেন বন্দনা দাস। তিনি আরও বলেন, যিনি দেখতে পাবেন এবং কথা বলতে পারবেন তাকে অবশ্যই যোগ্য ভেবে এবং মেনে আমাদের সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। কারণ সুযোগ পেলে সমাজের বিভিন্ন ধরণের প্রতিবন্ধী মানুষেরাও নিজেদের যোগ্য প্রমাণ করতে পারেন। আর এই সুযোগ পাওয়াটা তাদের অধিকার এই বিষয়টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সাথে তার প্রায় দু’ঘন্টার দীর্ঘ আলাপচারিতায় উঠে আসে। তার সাথে খোলামেলা আলাপের সুযোগ পেয়ে তৃণমূল পর্যায়ের প্রতিবন্ধী নেতৃবৃন্দ অনুপ্রাণিত বোধ করেন।
চট্টগ্রামে কর্মরত সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটি ফর দ্যা চেঞ্জ এ্যান্ড অ্যাডভোকেসি নেক্সাস (বি-স্ক্যান), রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার ফর ডিজেবল্ড (আরসিডি), চট্টগ্রাম বধির উন্নয়ন সংঘ, বোয়ালখালী প্রতিবন্ধী উন্নয়ন পরিষদ, চানগাও প্রতিবন্ধী উন্নয়ন পরিষদ, চিটাগং অটিস্টিক সোসাইটি, আনোয়ারা কোস্টাল ডিপিও এল্যায়েন্স এর প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিল সে সময়।