-সিজন নাহিয়ান
গত ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, বাংলাদেশ বনাম ভারতের মধ্যকার ওপেনিং ম্যাচটিতে বাংলার দামাল ছেলেদের বিজয়ের হাসি দিয়েই ভারতে শুরু হয়েছিল ‘প্রিমিয়া এশিয়া কাপ ক্রিকেট ফর ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড’ এর টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের যাত্রা। যদিও পরবর্তী ম্যাচে চার উইকেটে ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠে যায় আফগান শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রিকেটারদের দল।
উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশ ভারতকে ১৮ রানের ব্যবধানে পরাজিত করে লক্ষ্য পূরণের পথে এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছিল। মূল লক্ষ্য ছিল তাদের এশিয়ার সেরা হয়ে ঘরে ফেরা। এই উদ্দেশ্যে গত ২ ফেব্র“য়ারি’১৫ তারিখে ১৬ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দল ভারতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হওয়া এশিয়া কাপ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ছাড়াও অংশ নিয়েছে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রিকেট ক্রীড়াবিদগণ। ফাইনালে আফগানিস্তানের সাথে লড়ে এশিয়া কাপ জিতে নেয় ভারত।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ মহসিন জানান, সমাজে যেন প্রতিবন্ধী মানুষেরা নির্বাসিত অবস্থায় না থাকে, প্রতিবন্ধী মানুষেরাও ইচ্ছে করলে অনেক কিছুই করতে পারে- এ অনুপ্রেরণার লক্ষ্যেই এ টুর্নামেন্টের মূল উদ্দেশ্য। তিনি আরো বলেন, একজন হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী ক্রিকেটারের জন্য বিকল্প রানারের ব্যবস্থা থাকায় তাদের জন্য ক্রিকেটে ব্যাটিং কোন বিষয় না। আমি হুইলচেয়ারে বসেই ব্যাটিং বোলিং দুই-ই করে থাকি। তাই আগ্রহী শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রিকেটারদের এ নিয়ে দ্বিধার কিছু নেই।
দলের আরেক অলরাউন্ডার আমজাদ হোসেন জানালেন, আমাদের দলে ফাস্ট বোলার, স্পিন বোলার সবাই বেশ ভালো। দলের ব্যাটসম্যানরাও বেশ দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করে থাকে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ দল এর আগে গত বছর জুনে ভারতের আগ্রার ডিজেবল্ড স্পোর্টিং সোসাইটির বিপক্ষে সিরিজ জিতে তাজমহল কাপ চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নিয়ে আসে বাংলাদেশের জন্য। পরবর্তীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে ব্যক্তিগতভাবে এক লাখ টাকা প্রদান করেন। বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান এ দলের সাথে সাংগঠনিকভাবে যুক্ত রয়েছেন।