ছোটবেলা থেকে রাজনীতি ঘৃণা করে দূরে দূরে পালিয়েছি। রাজনৈতিক দলগুলোর কাজ দেশের উন্নয়ন। আর জনগণ! কূটরাজনীতিময় অপশক্তির চাপে পিষ্ট হতেই অভ্যস্ত সবাই। তর্ক-বিতর্ক, মতভেদের হাহাকার চারিদিকে। মারামারি কাটাকাটি এসব দেখতে দেখতে রাজনীতি আমার কাছে অপরাজনীতি হয়ে উঠেছিলো একসময়।
কিন্তু গত দুই এক বছরে ধীরে ধীরে ধারণা পাল্টেছে।
খুবই লজ্জা পাই ৭১ পরবর্তী প্রজন্ম হিসেবে। যা সত্যি তা বলা যায় না। যা মন চায় তা করা যায় না। ইদানিং খুব করে মনে হয় একটা পরিবর্তন দরকার। সমাজের ব্যবস্থাপনা কাঠামোতে পরিবর্তন আনতে হলে নিজেরা কতটুকু পরিবর্তিত হয়েছি তাও ভাববার আছে। সত্যিকার অর্থে যা করণীয় তা হলো পরিবর্তন প্রয়োজন আমাদের নিজেদের মধ্যেই। রাজনীতির প্রতি নয়, ঘৃণা থাকা উচিৎ যারা এই রাজনীতিকে অপ-রাজনীতিতে পরিণত করছে তাদের জন্যে। যাদের জন্য স্বাধীন দেশেও পরাধীনতার শেকলে আবদ্ধ হয়ে পড়ছে শুভ যা কিছু।
অপরাজনীতি চর্চা রুখতে আমাদের সক্রিয় হতে হবে। সুস্থ রাজনীতি চর্চায় তরুণ প্রজন্মকেই শক্ত হাতে হাল ধরতে হবে। তবে তা কখনোই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিদের সাথে নিয়ে নয়। তাই পরিবর্তন দরকার নিজেদের মাঝেই। নতুবা শুভ শেকল মুক্ত হবে কিভাবে?!
দেশ আমাদের একটাই। স্বাধীনতা একবারই এসেছিলো। কিন্তু আমরা কি করছি! দেশটা কয়েক ভাগে নিজেরাই ভাগ করে নিচ্ছি। ৭১ পরবর্তী প্রজন্ম হিসেবে সঠিক ইতিহাস জানার কতটুকু চেষ্টা করি আমরা!!
প্রচুর পড়তে হবে আমাদের। সঠিক ইতিহাস জানার চেষ্টা করতে হবে। ৫২ থেকে ৭১ এবং তার পরবর্তী সমস্ত কিছুই জানতে হবে। পড়তে হবে এবং পড়তে হবে। যার কোন বিকল্প নেই। আর বিশ্বাস করতে হবে, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি যতদিন থাকবে দেশীয় রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে বিশৃঙ্খলা চলতেই থাকবে।
দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের যা করণীয় আসুন সেই চর্চা শুরু করতে ইতিহাস জানার চেষ্টা শুরু করি।
তাসনিন সুলতানা,
চট্টগ্রাম।