অপরাজেয় প্রতিবেদক
অফিসে একটি প্রবেশগম্য টয়লেট এবং সিঁড়ির পাশে র্যাম্প যেকোনো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী মানুষের মনে এনে দেবে দারুণ প্রশান্তি। আর সারা দিন নির্বিঘ্নে অফিস করার এই চমৎকার পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে ঢাকার মাল্টিন্যাশনাল বায়িং হাউজে কর্মরত হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী নারীর সুবিধার্থে। কর্তৃপক্ষ একটি প্রবেশগম্য টয়লেট নির্মাণ করেছে তাদের সহকর্মীর অসুবিধার বিষয়টির প্রতি খেয়াল রেখে।
পোলিওর সম্মুখীন নিগার সুলতানা উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বললেন, ‘আমি আগে ট্রাইটন টেক্সটাইলে কাজ করতাম। সেখানেও আমার সহকর্মীদের আন্তরিক সহযোগিতা পেয়েছি। সেখানে সাততলা ভবনের সিঁড়ির পাশে আমার জন্যই নির্মাণ করা হয়েছিল একটি র্যাম্প। লিফট তো ছিলই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার দুজন সহকর্মী দুর্ঘটনা এবং শারীরিক অসুস্থতায় বেশ কিছুদিন হুইলচেয়ার ব্যবহার করেও সহজেই অফিস করতে সমর্থ হন। সেদিন খুব ভালো লেগেছিল যে আমার কারণে একটি ভবন সবার জন্য প্রবেশগম্য হলো।’
জানা যায়, দুটি ভবনের প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করতে যাঁরা উদ্যোগী হয়েছিলেন, তাঁরা দুজনেই ভিনদেশি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। এ প্রসঙ্গে নিগার বলেন, ‘আমাদের দেশে প্রতিবন্ধী মানুষদের প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন দরকার। অন্যান্য দেশীয় প্রতিষ্ঠানেও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিবান্ধব প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত হলে আমার মতো অনেক মানুষেরই কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।’