রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার ডামাডোলে আজকের বাংলাদেশের জন্য সময়টা মোটেও আনন্দের নয়!
এত দুঃখের মাঝেও আপনাদের জন্য একটা সুখবর আছে!
বাংলাদেশে “শারীরিক প্রতিবন্ধী” [আপনাদের ভাষায়] একজন মানুষ হারিয়ে গেলো। স্কুল ফাইনাল পরীক্ষা দিতে পারে নি বলে যে কিনা আর অভিযোগ করবে না কোনদিনও। একসময় রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আঁকাবাঁকা পায়ে হাঁটার কারণে আপনাদের ব্যঙ্গাত‹ক দৃষ্টি নিয়েও তার বড্ড অভিমান ছিলো! এরপরে যখন স্বাধীনতার হাতছানি নিয়ে ঘরে এলো হুইলচেয়ারটা, আহা সে কি খুশি তার! এবার সে হুইলচেয়ারের চাকায় গড়িয়ে রোজ অন্তত একবার আকাশ দেখতে পারবে… হাহ! জেল খানার বন্দী কয়েদীর মতোনই কাটাতে হলো বাকি সময়গুলো। আর সেই হুইলচেয়ারটা ঠাঁই নিলো ঘরের এক কোনায়।
কেনো তাকে স্কুলে যেতে দেয়া হলো না!? তার হুইলচেয়ারটা কেনো রাস্তায় চলে না!? কেনো সে কোত্থাও যেতে পারে না!? এক পলকের জন্য হলেও কেনো সে প্রিয় আকাশটার চেহারা দেখতে পায় না!? ইত্যাকার প্রশ্নের ঝড়ে আর কাউকেই বিরক্ত করবে না সে। আমি বাড়ি গেলে অজস্র সব অভিযোগের ডালি সাজিয়ে বালিশে মুখ গুজেও কাঁদবে না আর। আর কখনোই আক্সগুল তাক করবে না রাষ্ট্র তথা সমাজের দায়িত্বশীলতা নিয়ে। পরিবারের গাফেলতি নিয়ে।
মাত্র একুশ বছর বয়সি বোনটা আমার মাংসপেশীজনিত দূরারোগ্য কোন এক রোগে ভুগে ভুগে শারীরিক-মানসিক নানা রকম কিছু কষ্ট-অভিমান, দু’চোখ ভরা স্বপ্ন সব ফেলে রেখে চলে গেলো না ফেরার দেশে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যর্থ এক অভিভাবক,
রাক্সগুনিয়া, চট্টগ্রাম।