প্রান্তিক কিশোরী ও নারীর মাসিক পরিচর্যা ও বাধাসমূহ; না বলা কথামালা
মাসিক বিষয়ে শিক্ষা বদলে দেবে জীবনধারা এই প্রতিপাদ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গত ২৮ মে বিশ্বজুড়ে পালিত হয়েছে বিশ্ব মাসিক পরিচর্যা দিবস ২০১৭। কিশোরী ও নারীর জীবনে মাসিক বা ঋতুকালীন বিষয়টি অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং প্রাকৃতিক এক প্রক্রিয়া। যা নারীর বৈশিষ্ট্য। নারীর জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকা মানবাধিকারের বিষয়। মর্যাদার বিষয়। ঋতুকালীন স্বাস্থ্য অধিকার সুরক্ষার বিষয়। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন চিত্র দেখায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঋতুকালীন অবস্থায় নারীরা ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ করছে। নতুবা বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করছে। অন্যরা স্টেরিলাইজেশন বা জরায়ু অপসারণের সম্মুখীন হচ্ছে। পৃথিবীব্যাপী প্রতিবন্ধী কিশোরী ও নারী, যারা সবচেয়ে বৈষম্যপীড়িত ও গুরুতর, তাদের সঙ্গে তাই ঘটছে। এই সময়ের প্রেক্ষাপটেও অনেক গুরুতর প্রতিবন্ধী কিশোরী ও নারী সমাজ বিচ্ছিন্ন হয়ে চার দেয়ালের আঁধারে বন্দি জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। সঠিক অব্যবস্থাপনার ফলে ক্ষুণœ হচ্ছে প্রতিবন্ধী কিশোরী ও নারীদের মানবাধিকার।
পৃথিবীব্যাপী জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ কিশোরী ও নারী প্রতি ২৮ দিনে নিয়মিত একবার ঋতুচক্রের মধ্য দিয়ে যায়। স্বাভাবিক এবং প্রাকৃতিক এই প্রক্রিয়াটিকেই নানা রকম কুসংস্কার, গোঁড়ামি ইত্যাদির মাধ্যমে নারীদের আড়ালে থাকতে বাধ্য করা হয় এ দেশে। অসচেতনতা এবং সঠিক শিক্ষা ও ধারণার অভাবে প্রান্তিক পর্যায়ের কিশোরী ও নারীদের ঋতুকালীন ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় রয়েছে। বিশেষত অসংখ্য প্রতিবন্ধী কিশোরী ও নারীদের নানা দুঃসহ যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যেতে হয় ঋতুকালীন দিনগুলোতে। আমাদের মধ্যে যারা স্বাধীনভাবে চলাফেরা, পোশাক পরিধান এবং টয়লেট ব্যবহার করতে পারেন না বা সমস্যার মুখোমুখি যারা, বিশেষত এদের মধ্যে আরও বৈষম্যপীড়িত বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারী, অটিস্টিক নারী, মনো-সামাজিক প্রতিবন্ধী নারী, ডাউনসিন্ড্রোম নারীদের ঋতুকালীন পরিচর্যা এবং যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার, স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য, পরিচ্ছন্ন থাকার পদ্ধতি বিষয়ে আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্র এখনো বিবেচনাহীন অবস্থানে রয়েছে।
অপ্রতিবন্ধী, প্রান্তিক এবং প্রতিবন্ধী নাগরিকনির্বিশেষে সবারই স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির সম-অধিকার রয়েছে। কিশোরী ও নারীদের ঋতুকালীন ব্যবস্থাপনা পরিপূর্ণ মর্যাদার সঙ্গে নিশ্চিত করার বিষয়ে বিভিন্ন মানবাধিকার বা আন্তর্জাতিক সনদসমূহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। পানি, স্বাস্থ্যসম্মত পয়োনিষ্কাশনের অধিকার বিশেষত স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট শিক্ষার অধিকারসহ যৌন এবং প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকারসমূহ এসবের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু ঋতুকালীন বিষয়ে প্রতিবন্ধী কিশোরী ও নারীদের পরিপূর্ণ মর্যাদা দেওয়া হয় না সমাজে। প্রতিবন্ধী নারীর ক্ষেত্রে নেতিবাচক কুসংস্কারাচ্ছন্ন দৃষ্টিভঙ্গি সমাজের যেমন রয়েছে তেমনি আমাদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে অনেকখানি পিছিয়ে থাকাও এ ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব রাখছে। যা আমাদের মানবাধিকার সুরক্ষাসহ শিক্ষা অধিকার, কাজের অধিকার, স্বাস্থ্য অধিকারকে ক্ষুণœ করে। বিশেষত লিঙ্গ সমতা এবং মর্যাদার ওপর বেশ প্রভাব রাখে বিষয়গুলো।
শুধু কিশোরী ও নারীই নয়, তৃতীয় লিঙ্গ নাগরিক যারা জন্মগতভাবে নারী হিসেবে বেড়ে উঠেছে তাদের ঋতু পরিচর্যা ও যৌন স্বাস্থ্য বিষয়ে সামাজিক কাঠামো অত্যন্ত কঠোর। তাদের ঋতুকালীন স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থাপনা নিয়ে বেশ বাধার সম্মুখীন হতে হয়, বিশেষত রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যসেবা ও সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির অধিকার থেকে নিদারুণভাবে বঞ্চিত। সমাজের এই নেতিবাচক প্রভাবের কারণে তাদের ঋতুকালীন স্বাস্থ্য পরিচর্যা বাধাগ্রস্ত হয়। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রতিবন্ধী মানুষেরা ছাড়াও আদিবাসী, দলিত, জেলে, হরিজন, যৌনকর্মী ইত্যাদি সবাই কম-বেশি পিছিয়ে রয়েছেন। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর এই পিছিয়ে পড়ার পেছনে রাষ্ট্রীয়, সমাজ ও বাজার অর্থনীতির প্রভাব রয়েছে। আমাদের সমস্যা ও চাহিদাগুলো মেটাতে রাষ্ট্র খুবই উদাসীন এবং রাষ্ট্রের কোনো জবাবদিহিও নেই এ বিষয়ে। নিজ নিজ অধিকার প্রতিষ্ঠায় গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণের জন্য রয়েছে কাঠামোগত বাধা। আইন ও নীতি প্রণয়ন এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিষয়ে নীতিনির্ধারকদের মধ্যে আগ্রহ দেখা যায় না যতটা তৈরিতে দেখা যায়। ফলে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তার সব খাতে বৈষম্যের শিকার হতে হয় আমাদের। তা ছাড়া জাতীয় বাজেটে বঞ্চিত হতে হয় মন্ত্রণালয়ভিত্তিক বরাদ্দ প্রাপ্তি থেকে। সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে শিক্ষা, চাকরি, স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির সব অধিকার থেকে বঞ্চিত করা সহজ হয়ে পড়ে।
স্বাস্থ্য অধিকারের সব বিষয় শিক্ষা অধিকারের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। জাতীয় পাঠ্যসূচিতে ঋতুকালীন ও প্রজনন স্বাস্থ্যবিধি-সম্পর্কিত সামান্য তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা কিশোরীদের স্বাস্থ্য অধিকার ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারছে না। প্রতিবন্ধী কিশোরীদের চাহিদার ভিন্নতার বিষয়গুলো পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার ফলে বিদ্যালয়গুলো সঠিক দিকনির্দেশনা পাবে। এ ছাড়া ঋতুচক্র ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে শিক্ষক-ছাত্রীদের মধ্যে কুসংস্কারমুক্ত আলোচনার পরিবেশ তৈরি হবে। বিদ্যালয়গুলোতে এই পরিবেশ মেয়েদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য অধিকার সচেতন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যদিও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এসব বিষয় আলোচনায় নিয়ে আসার মতো পর্যাপ্ত নয় শিক্ষকদের জানা বোঝাগুলো।
বিশ্বব্যাপী চারদিকে ঋতুকালীন পরিচর্যা এবং স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা শুরু হলেও প্রতিবন্ধী কিশোরী বা নারীদের বিষয়টি তেমনভাবে আলোচনায় উঠে আসছে না। সাধারণ নারীর মতো আমাদের প্রতিবন্ধী নারীদের সঠিকভাবে ঋতুকালীন পরিচর্যায় স্বাস্থ্যসম্মত এবং ভালো মানের স্যানিটারি প্যাড, প্রবেশগম্য টয়লেট এবং পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থাসহ গোপনীয়তার সঙ্গে ঋতুকালীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার অধিকার। বাংলাদেশ সরকার ১৯৮৪ সালে নারীর সকল অধিকার প্রতিষ্ঠার সনদ সিডো অনুসমর্থন করে। এরপর আর নারীকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সরকার নারীর সকল অধিকার বাস্তবায়নে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি প্রণয়ন করেছে। প্রতিবন্ধী কিশোরী ও নারীর যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার সম্পর্কে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা না থাকলেও জাতিসংঘ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অধিকার সনদে প্রতিবন্ধী মানুষের মুক্ত ও পূর্ণ স্বাধীনতার ভিত্তিতে পরিবার গঠনের অধিকারকে স্বীকৃতি প্রদান করে বলা হয়েছে, রাষ্ট্র বাধ্য থাকবে তাদের স্বাধীন ও দায়িত্বশীলভাবে সন্তান সংখ্যা, জন্মবিরতি নির্ধারণ, বয়স অনুযায়ী প্রজনন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনাসংক্রান্ত তথ্য ও শিক্ষা লাভের অধিকার নিশ্চিত করতে এবং এই অধিকার চর্চায় প্রয়োজনীয় সকল পদ্ধতি সহজ করতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ২০০৭ সালে এই সনদ অনুসমর্থন করে। অন্যদিকে কাউকে পশ্চাতে রেখে নয় এই অভীষ্টে ২০৩০ সালের মধ্যে সরকার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর।
কিশোরী ও নারীদের ঋতুকালীন ব্যবস্থাপনা পরিপূর্ণ মর্যাদার সঙ্গে নিশ্চিত করার বিষয়ে এসডিজিতে সরাসরি উল্লেখ না থাকলেও এর লক্ষ্যমাত্রা ৩, ৪, ৫, ৬, ৮, ১০ এবং ১২ এ নারীদের সব বিষয় বিশেষত স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট শিক্ষার অধিকারসহ যৌন এবং প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকারসমূহ এতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এ ছাড়া ২০১১ সালে প্রণীত বাংলাদেশের জাতীয় স্বাস্থ্যনীতির ১৫টির মধ্যে ১৩তম উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, ‘মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক মানুষের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা করা হবে।’ কিন্তু এ নিয়ে সুস্পষ্ট কোনো ধারণা প্রদান করা হয়নি। সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিবান্ধব সেবার কোনো ব্যবস্থাও নেই। যদিও এই নীতিমালার কর্মকৌশলে ৩১ নম্বর অনুযায়ী মনো-সামাজিকসহ অন্য সব ধরনের প্রতিবন্ধী মানুষদের স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি সাধনে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে সরকারের নারীবিষয়ক সব উদ্যোগে প্রতিবন্ধী নারীদের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে বিচ্ছিন্ন করে না রেখে মন্ত্রণালয়ভিত্তিক কার্যক্রম ও পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন। সরকারের জাতীয় বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে এবং নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় মন্ত্রণালয়ভিত্তিক বরাদ্দ দেওয়া হলে প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার উন্নয়ন সুনিশ্চিত হবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। তবে আমরা এমনটি বলতে চাই না যে, উল্লিখিত সব কাজ কেবল সরকারেরই দায়িত্ব ও কর্তব্য, প্রতিবন্ধী নারীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সমাজের সবাইকে; আপনাকে, আমাকেও এগিয়ে আসতে হবে।
প্রতিবন্ধী নারীদের স্বাস্থ্যসেবা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমাদের কিছু প্রস্তাব তুলে ধরা হলো:
ক) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের বাজেটে প্রতিবন্ধী কিশোরী ও নারীদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ প্রদান
খ) সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে ঋতুকালীন পরিচর্যা ও স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রমে প্রতিবন্ধী কিশোরী ও নারীদের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা
গ) নারীর স্বাস্থ্য বিষয়ক সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে গুরুতর মাত্রার অটিস্টিক/বুদ্ধি/ডাউন সিন্ড্রোম/মস্তিষ্ক পক্ষাঘাত/মনো-সামাজিক এবং শ্রবণ-দৃষ্টি ও শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য সহযোগী প্রাপ্তিতে সরকারিভাবে সহযোগিতা প্রদানকারী তৈরি এবং প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা
ঘ) প্রতিবন্ধী নারীদের সমাজের মূলধারায় একীভূত রাখা এবং শিক্ষাসহ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা
ঙ) ইইসিআরের প্রকল্পের আওতাধীন এবং ইউনিসেফের সহযোগিতায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রক্রিয়াধীন জাতীয় কিশোর-কিশোরী কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিবন্ধী কিশোরীদের মাসিককালীন পরিচর্যা বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া
চ) দেশীয় কাঁচামাল, প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরির মাধ্যমে মূল্য কমিয়ে সকলের ক্রয়সীমার মধ্যে নিয়ে আসতে ভর্তুকির ব্যবস্থা করা
জ) প্রতিবন্ধিতা অনুযায়ী চাহিদার ওপর ভিত্তি করে বিশেষ ধরনের স্যানিটারি প্যাড তৈরিতে দেশীয় বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে উৎসাহিত করা
ঝ) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক হতে যাওয়া প্রতিবন্ধী কিশোরী ও নারীদের মাসিককালীন পরিচর্যা এবং হাইজিন ব্যবস্থার ওপর বেইজলাইন স্টাডি ২০১৭তে প্রতিবন্ধী কিশোরী ও নারীর বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা করা
ঞ) মাসিককালীন অবস্থার বিভিন্ন ধরনের ট্রমা থেকে মুক্তি পেতে টেলিফোনিক কাউন্সেলিংকে উৎসাহিত করা এবং ভালো মানের স্যানিটারি প্যাড ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধি করা
ট) বিদ্যালয়/কলেজগুলোতে মাসিককালীন পরিচর্যার ব্যবস্থাসহ টয়লেট স্থাপনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং স্যানিটারি প্যাড প্রাপ্তি এবং ডিসপোজালের ব্যবস্থা করা
ঠ) বিশেষায়িত বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ এবং পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করা
ড) অটিস্টিক/বুদ্ধি/মস্তিষ্ক পক্ষাঘাত/মনো-সামাজিক প্রতিবন্ধী কিশোরীর মায়েদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা
ঢ) তৃণমূল পর্যায়ের প্রতিবন্ধী নারীদের তাদের স্বাস্থ্য ও সন্তান জন্মদান-সংক্রান্ত স্বাস্থ্য অধিকার বিষয়ে সচেতনতা ও ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সেলিং কার্যক্রম সেন্টারে মনো-সামাজিক কাউন্সেলিং বৃদ্ধি করা
ণ) ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও অনগ্রসর নারীর উন্নয়ন ও বিকাশের সব অধিকার নিশ্চিত করা
প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সংগঠন বি-স্ক্যানের উদ্যোগে প্রতিবন্ধী নারীদের মাসিক স্বাস্থ্য পরিচর্যায় আয়োজিত সভায় পঠিত মূল প্রবন্ধ