রাজশাহী জেলায় পনেরো জন দরিদ্র প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য উন্নত সেলাই মেশিন প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করেছে রুয়েট শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সমানুপাতিক। এছাড়াও রাজশাহী কল্পনা উন্নয়ন প্রতিবন্ধী সংস্থাকে ৪ টি সেলাই মেশিন প্রদান করাসহ আরো দুইশতজন গরীব প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ঈদের দিন ভালো খাওয়া-দাওয়া নিশ্চিত করতে প্রত্যেককে পাঁচশ টাকার খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয় এক অনুষ্ঠানে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ছাড়াও সমানুপাতিক সদস্যবৃন্দ এবং এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন উক্ত অনুষ্ঠানে।
‘আসুন এই ঈদে দরিদ্র প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়াই’ স্লোগানকে সামনে রেখে গত রমজান মাসে তারা অত্র এলাকার ‘কল্পনা উন্নয়ন প্রতিবন্ধী সংস্থা’র দরিদ্র প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ শুরু করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং রুয়েটে বিভিন্নভাবে প্রচারণা ছড়িয়ে পড়লে তাদের আহ্ববানে সাড়া দিয়ে দেশের সর্বস্তরের মানুষ এবং প্রবাসীরা এগিয়ে আসেন আর্থিক সহযোগিতা দিতে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের স্বাবলম্বীকরনের লক্ষ্যে এই সেলাই মেশিন প্রশিক্ষনের জন্যে যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষন কেন্দ্রের একজন প্রশিক্ষককে নিয়োগ দিয়েছে সমানুপাতিক। যিনি পাঁচ মাসব্যাপী ১৫ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে নানা ধরনের সেলাই প্রশিক্ষন দেবেন। পরবর্তীতেও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের স্বনির্ভর করণের লক্ষ্যে এই প্রশিক্ষন কার্যক্রম অব্যহত রাখা যাবে এমনটাই বিশ্বাস তাদের। সমানুপাতিক সদস্যগণ জানান, প্রতিবন্ধী এবং অপ্রতিবন্ধী মানুষের জন্য একটি সম-অধিকার সম্পন্ন সমাজ গড়ে তোলা তাদের স্বপ্ন। দেশের উন্নয়নে উভয়ের সম্মিলিত অংশগ্রহন তারা নিশ্চিত করতে চান।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বি-স্ক্যান এর স্বনির্ভর প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন জেলায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিভিন্ন সহায়ক উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।
তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য, গত ৩০ আগস্ট, ২০১৩ রাজশাহীর কল্পনা প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থা কর্তৃক ১০টি হিয়ারিং এইড ও বেশ কিছু সহায়ক উপকরণের আবেদনের ভিত্তিতে দুইজন শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে হিয়ারিং এইড দেয়া হয়েছে।
এছাড়া দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের দ্বারা পরিচালিত ডিজেবল্ড রাইটস অরগানাইজেশন অব কিশোরগঞ্জ (ডিআরওকে) প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের স্বনির্ভর করণের লক্ষ্যে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলতে যাচ্ছে। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২১ আগস্ট, ২০১৩ সেখানে দুটি সেলাই মেশিন প্রদান করা হয়।