খলিলুর রহমান:পাশ্চত্যের ড্যান্ডি নামে খ্যাত বন্দর নগরী নারায়নগঞ্জের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন এবং বিসিক শিল্পনগরী শাসনগাঁও এলাকা। এখানে প্রায় লক্ষাধিক মানুষের বাস। অত্যন্ত নিম্ন আয়ের এই মানুষষগুলোর ছেলে মেয়েরা অভিজাত স্কুলে লেখাপড়ার সুযোগ পায় না। সরকারী স্কুলই ভরসা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এত মানুষের জন্য রয়েছে মাত্র একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
৬৬নং শাসনগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয় ১৯৬৮ সালে যেখানে প্রায় ১০০০ ছাত্র ছাত্রীর মধ্যে বিভিন্ন ধরণের প্রতিবন্ধী ছাত্র ছাত্রী রয়েছে ২০ জনেরও বেশি। স্বাধীনতার পূর্বে স্থাপিত হলেও এত বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এই স্কুলে। হুইলচেয়ার সহায়ক র্যা¤প অথবা ব্রেইল বই যাদের জীবনকে বদলে দিতে পারে তেমন ব্যবস্থা এ বিদ্যালয়ে নেই। অথচ তাদের জীবন মান উন্নয়নের জন্য একটু বিশেষ যতেœর প্রয়োজন। শিক্ষার সহায়ক পরিবেশ তো নেইই উপরন্ত আছে নিরাপত্তা নামক দুটি গেট যা অত্যন্ত উঁচু এবং প্রায় ৬/৭ টি সিড়ি ডিঙ্গিয়ে প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীদের নির্বিঘেœ প্রবেশে বিঘœ ঘটায়। একটি পাকা ও দুটি আধাপাকা ভবন আছে যার একটিতেও নেই প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীদের সহজ প্রবেশগম্যতা। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বসার মত কোন আলাদা ব্যবস্থা নেই। নেই প্রশিক্ষিত শিক্ষক। টয়লেটের অবস্থা এতই খারাপ যে, সেখানে প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীদের যাওয়া একেবারেই সম্ভব হয় না। বর্ষার সময় বিদ্যালয়ের সামনের জায়গাটুকু পানিতে ডুবে থাকার ফলে প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীদের চলাফেরা অত্যন্ত ঝুকিপূর্ন হয়ে পড়ে। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের চার পাশ দখলদারিদের আওতায় বড় বড় কলকারখানা গড়ে ওঠেছে যার তীব্র শব্দে অপ্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীদেরই পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটে সেখানে যদি থাকে মৃদু শ্রবন প্রতিবন্ধী তাদের অবস্থা কী পরিমাণ শোচনীয় তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। এ বিষয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন তাদের সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সরকারী অনুদান এবং পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে তারা কিছুই করতে পারছেন না। বর্তমানে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় সামান্য কিছু কাজ চলছে, যেখানে তারা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিষয়টি মাথায় রাখবেন বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে সরকার সংলিষ্টদের বিশেষ নজর দেয়া অত্যন্ত জরুরী বলে মনে করছেন অভিভাবকগণ। অন্যথায় এই সম্ভাবনাময় এই ছেলেমেয়েগুলো ধীরে ধীরে পিছিয়ে পড়তে বাধ্য হবে।