অপরাজেয় প্রতিবেদক
মেহেরপুর জেলার সবুজে ঘেরা একটি গ্রামের গল্প। গ্রামটিতে রয়েছে বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, মসজিদ এবং প্রায় তিন হাজার লোকের বাস। বিভিন্ন ধরণের প্রতিবন্ধী মানুষও রয়েছে। কিন্তু তাদের নেই শিক্ষা ব্যবস্থা। নেই কোন পুনর্বাসন ব্যবস্থা। এদের মধ্যে একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি যিনি ২০০৬ সাল থেকে শত বাধা পেরিয়ে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। প্রতিদিন তিনি এক হাঁটু কাদা পার হয়ে হুইলচেয়ার চালিয়ে বিদ্যালয়ে যান। এখানেও পরিবেশ একই রকম। একটু বৃষ্টি হলে এক ভবন থেকে আরেক ভবনে গিয়ে ক্লাস করা সম্ভব হয় না। সে সময় ১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম সব শ্রেণির ক্লাসই এক রুমে বসে নিতে হয়।
শিক্ষক প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছেন বলেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এভাবে ক্লাস নেবার অনুমতি সহজেই অর্জন করতে পেরেছেন। কিন্তু এটি যদি একজন শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে হত, তাহলে কি হতো? তার জন্য কি একই শ্রেণিকক্ষে প্রতি বছর ক্লাস করার অনুমতি দেয়া হতো? এমনই যদি হয় এদেশের অবস্থা, তাহলে প্রতিবন্ধী মানুষেরা তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে কিভাবে পৌছাবে?
এই সমস্ত জায়গাগুলো প্রতিবন্ধী ব্যক্তিবান্ধব করার উদ্যোগ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন উক্ত শিক্ষক।