জাতীয় পাঠ্যসূচির সঙ্গে বিশেষ বিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচির আকাশ-পাতাল ফারাক। মুরাদপুর দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে খুবই সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচিতে পড়তে হতো আমাদের। তাছাড়া পরীক্ষার কয়েক দিন আগে দেওয়া সামান্য তথ্যের ভিত্তিতে পড়া মুখস্থ করে পরীক্ষা দিতাম এখানে। এমনকি অঙ্কও মুখস্থ করতাম আমরা এই বিদ্যালয়ে। পিয়ালের ভাষ্য, বিশেষায়িত ও সাধারণ বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমের মধ্যে মারাত্মক পর্যায়ের পার্থক্য। এ জন্য সাধারণ বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে গিয়ে আমি একেবারে গভীর সমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছিলাম।
এমন ছেলের আবার কিসের লেখাপড়া যে চোখেই দেখতে পায় না! নিয়ে যান এখান থেকে এভাবেই পিয়ালের বাবা-মায়ের দিকে মন্তব্য ছুড়ে দেন চট্টগ্রামের এক শিক্ষক। তেরো বছর বয়সী ছেলের সামনে এই ধরনের মন্তব্যে বাবা-মায়ের অবস্থা সহজেই অনুমেয়। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী বলে চট্টগ্রামের কোনো বিদ্যালয় তাকে ভর্তি নিতে চায়নি। কিন্তু হাল ছাড়েননি বাবা-মা দুজনেই। হাল ছাড়েননি পিয়ালও।
বাবা মো. কামাল উদ্দিন ব্যাংক কর্মকর্তা এবং মা তাহরীর-ই-শাহনাজ চট্টগ্রামের মহিলা সমিতি স্কুলের শিক্ষকতা করছেন। এই দ¤পতির দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে তোহফাতুর রাব্বী পিয়াল। চট্টগ্রামের কৃতী সন্তান পিয়াল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে এ বছরই এলএলবি শেষ করলেন। ফলাফল বেরোলেই এলএলএম পড়বেন তিনি। শিক্ষাজীবন শেষে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মানবাধিকার রক্ষায় নিয়োজিত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কাজ করার স্বপ্ন দেখেন তিনি। হতে পারে তা জাতিসংঘ অথবা রেডক্রস ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে। পড়ালেখার পাশাপাশি অন্যান্য অঙ্গনেও পিয়াল মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। ছেলেবেলার সেই শিক্ষকের এবং সমাজের অবজ্ঞা ও অবহেলার জবাব দিয়ে চলেছেন তিনি।
শিক্ষাজীবন শেষ হওয়ার আগেই পিয়ালের লড়াই অন্তর্ভুক্ত হয়েছে জাতীয় পাঠ্যক্রমে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা জোগাতে তার সাফল্যগাঁথা উঠে এসেছে ষষ্ঠ শ্রেণির কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা বইয়ে। ২০১০ সালে প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি ২০১৩ সাল থেকে ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পাঠ্য। এ ছাড়া মূলধারার প্রতিযোগিতাগুলোতে একমাত্র দৃষ্টি প্রতিবন্ধী প্রতিযোগী হিসেবে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সুনাম বয়ে আনেন পিয়াল।
আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেডক্রসের প্রতিষ্ঠাতা হেনরি ডুনান্ট স্মরণে অনুষ্ঠিত হেনরি ডুনান্ট মুট কোর্ট প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পিয়ালের দল চ্যাম্পিয়ন হয়। কল্পিত মামলার বাদী বা বিবাদীর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপনের মাধ্যমে মুট কোর্ট প্রতিযোগিতার এই আয়োজন গত অক্টোবর মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, অস্ট্রেলিয়ার ম্যাক্যুইয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ও সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ সিদ্দিকী। মুট কোর্ট প্রতিযোগিতায় পিয়ালের দলের অন্য সদস্য ও তার সহপাঠী শেখ হাবিবুর রহমান বলেন, পিয়ালের বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে।
এর আগে গত বছরের আগস্টে ঢাকায় অনুষ্ঠিত মডেল ইউনাইটেড নেশন (ছায়া জাতিসংঘ) প্রতিযোগিতায় সেরা ডেলিগেট নির্বাচিত হন পিয়াল। এই প্রতিযোগিতাতেও পিয়াল একমাত্র দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ছিলেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সহকারী অধ্যাপক জসিম আলী চৌধুরী বলেন, পিয়াল আমাদের স¤পদ। তার গবেষণা, শেখা-জানার আগ্রহ এবং প্রতিটি পর্যায়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলা প্রমাণ করে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গেই প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যেতে পারে। আমাদের ২০ জন মুটারের মধ্যে পিয়াল সেরাদের একজন। লেখাপড়ায়ও সে ভালো।
অথচ এই পিয়ালকেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী হওয়ার কারণে নবম শ্রেণিতে ভর্তি করাতে আপত্তি করেছিল চট্টগ্রামের বেশ কিছু স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পিয়ালের লড়াইটা ভিন্ন। বিশেষ বিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে সাধারণ বিদ্যালয়ের নতুন পরিবেশে সাধারণ ছেলেদের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার লড়াই। বিশেষ বিদ্যালয়ের একেবারেই ভিন্ন পাঠ্যক্রম থেকে জাতীয় পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অভ্যস্ততা তৈরির লড়াই।
চট্টগ্রামে মুরাদপুর সরকারি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় থেকে ২০০৮ সালে অষ্টম শ্রেণি পাস করেন পিয়াল। এরপর ওই বিদ্যালয়ে আর পড়ার সুযোগ নেই। কিন্তু পিয়ালের ইচ্ছে আরও পড়ার। অজানাকে জানার অদম্য এই আগ্রহ বেড়েছে বাবা-মায়ের উৎসাহেই। কিন্তু নবম শ্রেণিতে ভর্তি হতে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ফিরতে হয় তার বাবা-মাকে। মা শিক্ষকতা পেশায় নিযুক্ত থেকেও নিজের ছেলেকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন। প্রথমে পিয়ালের লক্ষ্য ছিল প্রবর্তক বিদ্যাপীঠে ভর্তি হবে সে। কিন্তু প্রথম ভর্তি পরীক্ষা দিতেই ধাক্কা জাতীয় পাঠ্যসূচির সঙ্গে বিশেষ বিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচির আকাশ-পাতাল ফারাক।
পিয়ালের এই লড়াইয়ের গল্প তার ভাষ্যেই তুলে ধরা হলো। মুরাদপুর দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে খুবই সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচিতে পড়তে হতো আমাদের। তা ছাড়া পরীক্ষার কয়েক দিন আগে দেওয়া সামান্য তথ্যের ভিত্তিতে পড়া মুখস্থ করে পরীক্ষা দিতাম এখানে। এমনকি অঙ্কও মুখস্থ করতাম আমরা এই বিদ্যালয়ে। বিশেষায়িত ও সাধারণ বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমের মধ্যে মারাত্মক পর্যায়ের পার্থক্য। যার জন্য সাধারণ বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে গিয়ে আমি একেবারে গভীর সমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছিলাম। এমনকি মুরাদপুর দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ স্যার আমার শিক্ষক ছিলেন তখন, তিনিও আমাকে জাতীয় পাঠ্যক্রম সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দিতে পারেননি। যদিও আমার ভর্তির জন্য বাবা-মায়ের সঙ্গে তিনিও ছুটোছুটি করেছেন। আমার জন্য বলতে গিয়ে অপমানিতও হয়েছেন প্রবর্তক বিদ্যাপীঠের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক দীলিপ কুমার বিশ্বাস স্যারের কাছে। আমার বাবা-মা আমাকেসহ অপমান করেছিলেন এই স্যার। ভর্তি পরীক্ষায় টিকে যাওয়ার পরেও তিনি আমাকে ভর্তি করাননি তার বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়ে গিয়ে বসে থাকতাম ঘণ্টার পর ঘণ্টা। বিপ্লবী বিনোদ বিহারী বাবুর একটি অনুষ্ঠানে সারা দিন অপেক্ষায় থেকেও তার সঙ্গে দেখা করতে পারিনি। আরও নানা জায়গায় ছুটোছুটি করে অপমানের বোঝাই বাড়িয়েছি আমরা, কোনো ফল আসেনি। এরপর আমার দ্বিতীয় প্রচেষ্টা শুরু নাসিরাবাদ বালক উচ্চবিদ্যালয়ে। কিন্তু এখানেও একইভাবে বাধা দেওয়া হলো। দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতার কারণে আমাকে ভর্তি নেওয়া সম্ভব না। তবে জানা গেল, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ভর্তির জন্য অনুমতিপত্র এনে দিলে ভর্তি করাবেন তারা। আমরা যথারীতি আবারও ছুটোছুটি শুরু করলাম। শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বললেন সহকারী জেলা প্রশাসক বা জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর নিতে। প্রথমে এডিসি মহোদয়ের কাছে গেলাম আমরা। তিনি বললেন ডিসি স্যারের কাছে যেতে। তৎকালীন জেলা প্রশাসক ছিলেন আশরাফ শামীম। তিনি ক্ষেপে গিয়ে আমার কাগজপত্র ছুড়ে দিলেন আমাদের দিকে। চিৎকার দিয়ে বললেন, এসব নিয়ে আমার কাছে আসবেন না। এতটা অপমান আর কখনো অনুভব করিনি। প্রতিবন্ধিতার কারণে আমার শিক্ষাজীবন থেমে যেতে পারে না এই কথা তার মতো শিক্ষিত মানুষকে বলতে আমার রুচিতে বাধছিল।
কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, অন্য অভিভাবকেরা তাদের ছেলে-মেয়ের সঙ্গে আমাকে পড়াতে চাইবেন না। এমনি বেশ কিছু বিদ্যালয়ে ঘুরতে ঘুরতে মাস দুই পেরিয়ে গেছে। সব বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হয়ে গেছে। আর আমি হতাশ হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি টঙ্গী গিয়ে কারিগরি প্রশিক্ষণ নিয়ে সাদামাটা একটা জীবন কাটাব। উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা বিলাসিতা। আমার মতো প্রতিবন্ধী মানুষদের জন্য মিস্ত্রিগিরি করে জীবন কাটানোটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাবা আমার হারিয়ে যাওয়া মনোবল ফিরিয়ে আনলেন। বললেন, মাত্র তিন মাসেই হাল ছেড়ে দিবি! অপমানের জবাব তো দিতেই হবে তোকে!
আমি নতুন উদ্যমে যুদ্ধ জয়ের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করলাম। এবারের লক্ষ্য দামপাড়া পুলিশ ইনস্টিটিউট বিদ্যালয়। এখানে আমাকে বলা হলো, ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে না। পুলিশ কমিশনার আকবর আলী খান সাহেবের একটি চিঠি আনলেই হবে। আমার ভাগ্য এখানে ফিরল। আকবর আলী খান সাহেব বেশ চমৎকার মানুষ। তিনি আমার সমস্যা শুনেই বিনা বাক্যে স্বাক্ষর করে দিলেন। এই বিদ্যালয়ে পাঠ্যসূচির সঙ্গে আমার এত দিনকার পাঠ্যসূচির কোনো মিল নেই। অজ্ঞতার কারণে বেসরকারি পর্যায়ের বোর্ডের ব্রেইল বই কিনতে হয় উচ্চ মূল্য দিয়ে। একেক সেট বই চল্লিশ, পঞ্চাশ কখনো সত্তর হাজার টাকা দিয়েও বিক্রি হয়। এর ওপর শ্রুতলেখক সমস্যা তো রয়েছেই। কখনো শ্রুতলেখক নিয়ে পরীক্ষা দিইনি আমি। এই অনভিজ্ঞতার কারণে গ্রাম থেকে পরিচিত ভাইকে নিয়ে এলাম নবম শ্রেণির প্রথম পরীক্ষায় শ্রুতলেখক হিসেবে। পরীক্ষার হলে গিয়ে যখন প্রশ্ন পড়তে শুরু করল সে, বুঝতে পারলাম ভালোভাবে ইংরেজি পড়তে পারছে না। জানলাম অঙ্কও ভালো বোঝে না সে। তখন আর কিছুই করার নেই। প্রথম পরীক্ষায় ফেল করলাম।
তবে এই বিদ্যালয়ে সব শিক্ষক ও সহপাঠীর অভূতপূর্ব সহযোগিতা পেয়েছি আমি। যদিও সহপাঠীরা প্রথম দিকে আমাকে খানিকটা দয়ার দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখত। সবার মধ্যে এমন একটি অনুভূতি, আমি আলাদা একজন। আমি প্রতিবন্ধী তাই আমাকে সাহায্য করতে হবে। এই করুণার দৃষ্টিভঙ্গি ভালো লাগত না। আমি চাইতাম তাদের সঙ্গে আর দশটা ছেলের মতো বন্ধুত্ব করতে। গল্প-আড্ডা-খুনসুটি, ঝগড়া-মারামারি কত কিছুই না হয় বন্ধুদের মাঝে। তাদের সঙ্গে এই সহজ সম্পর্ক তৈরি করতে এক বছর লেগেছে আমার। বিশেষত যখন নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় প্রথম হয়ে দশম শ্রেণিতে উঠে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করলাম, তারপর থেকে তারা আমার সঙ্গে সহজ হতে শুরু হলো। নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে দিনরাত পড়েছি আমি। তবে প্রাইভেট টিউটর শেখ মুনতাসির হোসেন ফাহিম স্যারের আন্তরিক সহযোগিতা না পেলে আমার সব পরিশ্রম বৃথা যেত। ২০১০ সালে এসএসসিতে মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পাই এবং চট্টগ্রাম বোর্ডে প্রথম স্থান অর্জন করি আমি। এই ফল আমাকে আকাশ ছোঁয়ার উদ্দীপনা জোগায়। আমার আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দেয়। এরপর এইচএসসিতে চট্টগ্রাম কলেজে। এখানে নতুন সমস্যা, কোনো ব্রেইল বই-ই নেই। তবু রেকর্ড করে নিজে ব্রেইল নোট তৈরির মাধ্যমে এ গ্রেডে উত্তীর্ণ হতে সক্ষম হই। তারপর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর প্রথম থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত প্রতিবারই প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছি। অন্যান্য কার্যক্রমের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়েছি ভালো লাগা থেকে। এতে নিজের মেধার বিকাশ ঘটেছে। আমাদের প্রতিবন্ধী মানুষদের এভাবেই এগোতে হবে। ঘর থেকে বেরোতে হবে। নিজের অধিকার অর্জনে জীবনের সংগ্রাম জোরালোভাবে চালিয়ে আদায় করে নিতে হবে।